মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজনমহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর আয়োজন

 

আজ ১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। এই দিনটিকে আরও মহিমান্বিত ও আকর্ষণীয় করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, তেজগাঁও এ একটি মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারাজাম্প এবং বিশেষ এ্যারোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক উক্ত অনুষ্ঠানে একটি সমন্বিত ব্যান্ড পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও আজ ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে সশস্ত্র বাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল কর্তৃক বাদ্য পরিবেশন করা হয়েছে এবং ঢাকার বাহিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনীর সেনানিবাস/ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় সীমিত আকারে ব্যান্ড পরিবেশন করা হয়েছে। এদিকে বিমান বাহিনী কর্তৃক সীমিত আকারে ফ্লাই পাস্ট (খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রাম শহর ও ফৌজদারহাট এলাকা, কক্সবাজার এবং মাতারবাড়ী এলাকায়) পরিচালনা করা হয়েছে। 

বিজয়ের ৫৪তম বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুর রহমান এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৩ জনসহ সর্বমোট ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাসহ ফ্রি ফল জাম্পের মাধ্যমে আকাশ হতে ভূমিতে অবতরণ করেন। যা, এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং অদ্যবধি এ রেকর্ডটি Guinness World Records এ লিপিবদ্ধ হয়নি। সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের এই উদ্যোগটি সফল হওয়ায় প্রথম বারের মতো এতো সংখ্যক পতাকাসহ ফ্রি ফল জাম্পের রেকর্ডটি Guinness World Records-এ বাংলাদেশের পক্ষে লিপিবদ্ধ হবে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারি পদক্ষেপ। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে এই আয়োজন দেশে-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে জাতীয় গৌরব ও আত্ম পরিচয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপারদের মধ্যে শেষ ৬ জন (৪৯ হতে ৫৪ নং পর্যন্ত) প্যারাট্রুপারগণ পোশাকে নিজেদের নেইমপ্লেটের পরিবর্তে সুদানের আবেই শহরে ইউএন ঘাঁটিতে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের নেইমপ্লেট পরে প্যারাট্র‍্যুপিং করেন।

অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধীকারীগণ, ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থ্যানে আহত ব্যক্তিগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও বিএনসিসি ক্যাডেট এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহকারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।

এদিকে দিবসটি উদ্‌যাপনে চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) এবং বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজসমূহ সকাল ১২০০ ঘটিকা হতে ১৬০০ ঘটিকা পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এছাড়াও, সামরিক জাদুঘরসহ বাহিনীত্রয়ের অন্যান্য জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য খোলা রাখা হয়।